সিংহ কিংবা বাঘের বন্যপ্রাণীকে গৃহে লালন-পালন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
বিসি বলছে, তেল-সমৃদ্ধ উপসাগরীয় এই রাষ্ট্রটিতে চিতাসহ অন্যান্য হিংস্র বন্যপ্রাণীকে গৃহে পালন আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে।
কিন্তু বিষয়টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় তারা এখন জেল-জরিমানার ঝুঁকিতে পড়বেন।
দেশটিতে বাঘ নিয়ে রাস্তায় হাঁটা, গাড়ির ভেতর থেকে সিংহের বেরিয়ে আসা এবং সমুদ্র সৈকতে পাঁচটি বাঘের বিচরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট হওয়ার পর এ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়।
হিংস্র বন্যপ্রাণীদের এরকম অবাধে চলাফেরার বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তারাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন।
নতুন আইনে সবধরনের বন্য ও হিংস্রপ্রাণী সংরক্ষণ এবং গৃহে পালন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ ধরনের প্রাণী এখন থেকে শুধুমাত্র চিড়িয়াখানা, বন্যপ্রাণী পার্ক, সার্কাস, প্রজনন ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে থাকবে।
যদি কেউ বাঘ অথবা অন্যকোনো বিদেশি প্রাণী জনসমক্ষে নিয়ে আসেন তবে তাকে ছয়মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ দিরহাম (১ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ) জরিমানা গুণতে হবে।
কেউ যদি বন্যপ্রাণীকে অন্যকাউকে ভয় দেখানোতে ব্যবহার করে তবে জরিমানার অর্থ আরো বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ ৭ লাখ দিরহাম গুণতে হবে।
সাধারণ ঐতিহ্যবাহী প্রাণী রাখার ক্ষেত্রেও নতুন আইনে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে। কুকুর রাখার জন্য অনুমতি নিতে হবে এবং জনসমক্ষে নিয়ে আসা যাবে না।
এই আইন অমান্যকারীকে সর্বোচ্চ ১ লাখ দিরহাম জরিমানা করা হবে। বিপজ্জনক রোগের টিকা দিতে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষেত্রেও একই জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
কুকুর প্রেমীদের জুনের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র এবং টিকার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
Wow, Nice article I read it’s very useful to keep up the good work.
Thanks for sharing ………
LikeLike